Please note that Tapas no longer supports Internet Explorer.
We recommend upgrading to the latest Microsoft Edge, Google Chrome, or Firefox.
Home
Comics
Novels
Community
Mature
More
Help Discord Forums Newsfeed Contact Merch Shop
Publish
Home
Comics
Novels
Community
Mature
More
Help Discord Forums Newsfeed Contact Merch Shop
__anonymous__
__anonymous__
0
  • Publish
  • Ink shop
  • Redeem code
  • Settings
  • Log out

ফেক্টরিয়াল জিরো

আমি পৃথিবী থেকে এসেছি [6-7]

আমি পৃথিবী থেকে এসেছি [6-7]

Aug 24, 2021

৬

ড্রাইভার রিতি বলল কেউ যেন ভয় না পায়, ততক্ষনে তাদের পেছন দিক থেকে আরেকটা বোর্ড চলে এসেছে। রিতি তখন বলল এই ন্দী দেখতে আসাই ভুল হয়েছে। কিছুক্ষণ পর তারা বুঝতে পারল তাদের চারদিক থেকে আটকে ফেলা হয়েছে। দূরে যে বোর্ট-টা ছিল সেটাও এতক্ষনে খুব কাছে এসে পড়ছে, লোকগুলোর প্রত্যেকের হাতে হাতিয়ার আছে। কারও কারও কোমরে পিস্তল, কারও কারও হাতে রাইফেল। তাদের চারদিক থেকে আটকে ফেলা হয়েছে। তাদের একদম পাশে এসে বোর্ডটা দাড়িয়েছে সেখান থেকে যে লোকটা বসে বসে দাত খোচাচ্ছিল সে লোকটা বলল, “তোরা দাঁড়িয়ে আছিস কেন?” তার এ কথা শুনে অন্যান্যদের ব্যস্ত দেখা গেল। একজন দাড়িওয়ালা গিয়ে ড্রাইভারের বুকে চাকু বসিয়ে দিল। এসব এত তাড়াতাড়ি হচ্ছিল যে তাদের হতবাক হয়ে দেখা ছাড়া অন্য কোন পথ ছিল না। ড্রাইভার খুন হওয়ার পর ফাহিম একটা চিৎকার দিল।

তোমরা কি চাও?- পাশের পরিবারের একজন জিজ্ঞাস করল।
“তোকে গুলি করতে।”- এটা বলে সে লোকটাকে গুলি করলো। এ অবস্থায় ফাহিম অজ্ঞান হয়ে গেল। তার বাবা তাকে ধরল। আর কেউ কথা বলার চেষ্টা করল না।
এতক্ষণে যা বোঝা গেল সেটা হল যে লোকটা প্রথমে দাত খোচাচ্ছিল সেই লোকটা তাদের দলনেতা। তার হাব-ভাব ভাল মনে হচ্ছে না। তাদের ছেড়ে দেয়ার কোন লক্ষণ দেখাচ্ছে না। নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ আলোচনা করল। তারপর দস্যুরা তাদের টাকা-পয়সা ছিনতাই করলো। তাদের অনেকক্ষণ পেছনের দিক দিয়ে বাধলো। তারপর তাদের জংগলের দিকে নিয়ে গেল। সেখানে তাদের একটা ফাকা জায়গায় রাখা হল। এতক্ষণ তাদের কারও মুখ দিয়ে কোন কথা বের হলো না। সবাই নিস্তব্ধ হয়ে তাদের কান্ডকারখানা দেখলো। তাদের মুখ বাধা হয় নি। আর দস্যুদের কিছু লোক পাহাড়া দেয়া শুরু করল। নিশ্চয়ই তাদের কোন পরিকল্পনা আছে।

হিমান ভাঙ্গা ঘরের পাশে বসে আছে। ক্রিকের অনেক জিনিশ সে অক্ষত অবস্থায় পেয়েছে। আর ঘরের অবস্থা ডাল-পুড়ি। ক্রিকের অপেক্ষায় সে বসে আছে। কিন্তু এখন রাত হয়ে গেছে। শিয়ালের হুক্কাহুয়া ডাক শুনে তার ভয় করতে লাগলো। সে এদিক সেদিক তাকিয়ে দৌড় দিল। পাহাড়ের ওপর পাশে গিয়ে সে থামল। সে পকেটে ক্রিকের জিনিশ গুলোও এনেছে। এজন্য তার কিছু ভালো লাগছে। সে পাহাড়ের নিচে একটা গুহা আবিষ্কার করলো। গুহাটা ভাল্লুকের হতে পারে, এজন্য সে সাবধানে গুহায় ঢুকল। তার কছে ক্রিকের নাইট ভিশন গ্লাস আছে।
তার ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ গুহার মুখে মাকরশার জাল। তার মানে গুহাটা পরিত্যাক্ত। সে গুহাটাকে বসবাস যোগ্য বানালো। তারপর আগুন জালালো। তার ক্রিকের জন্য চিন্তা হচ্ছে। ক্রিক কোথায় আছে কে জানে?

ক্রিকের একটা আজব অবস্থা হচ্ছে। তার কেন যেন নড়তে অসুবিধা হচ্ছে। এটা নাট হারনোর জন্যে হচ্ছে কিনা সে বুঝতে পারছে না। সে শুনেছে মানুষেরাও মাঝে মাঝে এ সমস্যায় পড়ে। তারা এটাকে ভয় বলে। তার কেন ভয় করবে সে বুঝতে পারছে না মানবিক অনুভূতি তার কেন হবে। সে তো আর মানুষ নয়। হিমান কোথায় আছে সে জানে না। সে কোন দিকে যাচ্ছে সেটাও সে জানে না।এসব হচ্ছে তার নাট হারানোর জন্যে। সে হাটছে তো হাটছে, মাঝে মাঝে তার নড়তে সমস্যা হচ্ছে; আবার সে হাটছে। তার মনের ভাব ছন্দ আকারে বের হচ্ছে। কেন হচ্ছে তাও সে জানে না। তার বর্তমান অবস্তথা নিয়ে তার মধ্যে কতগুলি লাইন তৈরি হয়েছে। মানবসত্তা যাকে কবিতা বলে। লাইনগুলি বারবার আবৃত্তি করতেও তার ভাল লাগছে।
                  “ আমি আজ এই অন্ধকারে একলা হাটি পথে
                পায়ের নিচে শুকনা পাতা, কিংবা পিপড়া মরে শখে।”
ক্রিকের এখন নিজের উপর গর্ব লাছে। সেকি মানুষের মত হয়ে যাচ্ছে?

“ওস্তাদ এখন কি করব?”
“আমরা এখন সরকারের কাছ থেকে টাকা নিমু।”
“কত নিবেন ওস্তাদ?”
“অনেক। খশরুরে আইতে ক। হেয় মুটামুটি ৫ কেলাস পর্যন্ত পরছে। হেয় ঠিক মত কইতে পারবো কত টাকা সরকারের কাছে চাইতে অইবো। আর তুই লাশ গুলার ব্যবস্থা কর।”

ফাহিমের শাসকষ্ট হচ্ছে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল সে তার ইনহেলারটা হাত দিয়ে ধরতে পারছে না। তার একদম সামনা_সামনি রিতি বসা। সে রিতির দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করছে। রিতি মাটির দিকে তাকিয়ে আছে। ফাহিমকে সে দেখছে না। ফাহিম তাকে জোড়ে ডাক দিল। পাশ থেকে একটা লোক তাকে ধমক দিল। তার বাবা ফাহিমের কন্ঠ বুঝতে পেরেছিল। সে উঠে যেতে চেষ্টা করল। কিন্তু পারলো না। সে বলতে লাগলো আমার ছেলের শাসকষ্ট হচ্ছে। পেছন থেকে একটা লোক এসে তাকে লাথি দিল। সে চিৎকার করতে থাকলো। রিতির এতক্ষনে হুশ হল। রিতি হাত ছাড়িয়ে নিল। “ইনহেলার কোথায় ?- “রিতি জিজ্ঞাস করল।
“প-কে--টে।”
রিতি তার পকেট থেকে ইনহেলার বের করে তার মুখের উপর ধরল। ফাহিম যেন হুশ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের পাশে একজন দস্যু হাটাহাটি করছিল। সে রিতির কাছে এসে রিতিকে মারা শুরু করলো। রিতি মা বলল, “আমার মেয়েকে তোমরা মের না।” রিতি মনে মনে ভাবছে এতক্ষনে তার মার তার কথা মনে হয়েছে। রিতির হাত আবার বাধা হল কারন সে ফাহিমকে ইনহেলার দিতে গিয়ে নিজের বাধটা খুলে ফেলেছিল। সংগে তার মুখও গামছা দিয়ে বাধা হল, কারন তাকে মারার সময় রিতি কথা বলছিল।

অনেক সময় হয়েছে কিন্তু তাদের এখনও খাবার দেয়া হয় নি। রিতির মুখ বাধা না থাকলে সে কিছু কঠিন কথা বলতে পারত। দস্যুরা একটু পরপর তাদের দেখিয়ে দেখিয়ে খাচ্ছে আর তাদের নিয়ে মজা করছে। তাদের এমনিতেও খাবার সঙ্কট। তাদের উদ্দেশ্য সফল করার এটাই ঠিক সময়। সরকারই সব ব্যাবস্থা করবে, না হলে তারা না খেয়ে মরবে।
“ওস্তাদ কি করবেন কিছু ঠিক করেছেন?”
“খশরুকে বলেছি ব্যাবস্থা করতে।”
“এখন?”
“শুধু ওয়েট কর’।
“ওস্তাদ আপনে শিয়র খশরু এইটা করতে পারবে?”
“তোর চেয়ে ভালো করবে।”- এই পর্যায়ে চিকন লোকটা চুপ হয়ে গেল। তার আরও কিছু বলার ছিল, কিন্তু বলার সাহস হল না।

ক্রিক জংগলে দৌড়াচ্ছে। কেন সে এটা করছে? ওহ হ্যা এটা করতে তার ভালো লাগছে। হঠাৎ সে একটা গাছের সাথে বেশ জোড়েই বাড়ি খেল। সে গাছের নিচে কতক্ষণ পরে থাকলো। সে তার চারপাশে ঘূর্ণায়মান তারা দেখতে পাচ্ছে। ওহ এ নিয়ে তার মাথায় একটা গান এসেছে। সে গান গাওয়া শুরু করলো।

হিমান গর্তের ভিতর ক্রিকের জিনিশগুলু নাড়াচাড়া করছে। তার সাথে আছে; একটা হলগ্রাফিক মডেল যেটা শুধু ক্রিকই চালাতে পারবে, একটা ওয়েপান; এটা চালানোর পদ্ধতি সে জানে না, আর কয়েকটা কেমিকেলের ডিব্বা, আর একটা অজানা বাক্স। বাক্সটা অনেক ছোট। তাই মূল্যবান কিছু এর মধ্যে সে আশা করছে। যদিও বেশিরভাগ মূল্যবান জিনিশই ছোট হয়। সে হলগ্রাফিক মডেলটা নাড়াচাড়া করছে। যদি কোন ভাবে সে এটা চালু করতে পারে , সে বাটনটা স্পর্শ করল। তার ধারণা যেন সত্যি হল। মডেলটা চালু হয়ে গেল।
হিমান চোখের সামনে যা দেখছে তা তার বিশাসযোগ্য হচ্ছে না। সে তার চোখের সামনে নিজেকেই দেখছে। যদিও সেখানে সে সামান্য বয়স্ক।
“তুমি কে?”-হিমান জিজ্ঞাস করলো।
“আমি হিমান। “
“মানে?”
“আসল-জন। আসল-জন বললে ভুল হবে কারণ আমি আর তুমি একই ব্যাক্তি।”
“আমি তোমার কথা বুঝতে পারছি না।”- হিমান বলল।
“বোঝার মত তেমন কিছুই নেই। আমি তোমাকে তৈরি করেছি আর আমিই তোমাকে অতীতে পাঠিয়েছি।”- হলগ্রাফিক হিমান বলল।
“তাহলে আমিই আমার বাবা, কিন্তু আমার বাবা- মার স্মৃতি?”
“তাদের স্মৃতি আমিই তৈরি করেছি।”- এ কথা শুনে হিমান চুপ হয়ে গেল। তার মাথা ভারি হয়ে গেছে, তার চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। মডেলটা আবার বলা শুরু করল, “আমি জানি তুমি আমাকে যখন দেখতে পাবে তখন ক্রিক তোমার পাশে থাকবে না। তাকে এখন তুমি খুজে বের করতে চাও। আর আমার কিছু কথা মন দিয়ে শোন, তুমি এখানে যে কারণে এসেছ সে কারণটা তোমাকে বলি। আমাদের আসলরূপ কোন কাল থেকে এসেছে আমরা জানি না। তবে তার একটা বিশেষ জিনিশ আমাদের সাধন করতে হবে। সে জন্য তোমাকে প্রস্তুত হতে হবে। ক্রিক তোমার পাশে নেই, এ কারনে তোমাকে নিজে নিজেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন থেকে ২৫ বছর পর পৃথিবীতে একটা বিরাট বিপর্যয় হবে। তোমাকে সে বিষয় নিয়ে কিছু করতে হবে কারন আমি করতে পারি নি।তারপর হলগ্রামে সে এমন কিছু কথা শুনলো যা তার মধ্যে ভূমিকম্পের মত শোনাল।


রিতির পাশে যে মেয়েটা বসে আছে তার নাম কথা। সে ফিসফিস করে রিতির সাথে কথা বলছে।
“আমি তোমার মুখ থেকে কচ-টেপটা কুলে দিচ্ছি দাঁড়াও।”
সে রিতির মুখ থেকে কচ-টেপটা খুলে চারদিকে লক্ষ্য করল কেউ দেখেছে কিনা। তারা সবাই কোন একটা কারনে ব্যস্ত আছে, তাই তারা এখন কেউ তাদের মন দিয়ে লক্ষ্য করছে না।
“তুমি তোমার হাত কিভাবে খুলেছ?”- রিতি প্রশ্ন করল।
“তুমি যেভাবে খুলেছ।”
“ভালো।”
‘তোমার কি ক্ষিদে পেয়েছে?’
“হ্যা।”- কথা তার পকেট থাকে একটা চকলেট বের করে রিতির দিকে বারিয়ে দিল।
“আমি তো তোমার চকলেট নিতে পারব না।”
“কেন?”
“আমার হাত তো বাধা।”
“ওহ হ্যা।”- কথা রিতির হাত খুলে দেয়ার জন্য এগিয়ে আসলো। দস্যুদের চিকন লোকটা তাদের দিকে এগিয়ে আসল। লোকটা বলল, “তোমরা কি এটারে সিনেমার কাহিনী পাইছ?” এটা বলে সে রিতি কে থাপ্পর দিল। রিতি এই পর্যায়ে নিজের হাত ছুটিয়ে লোকটাকে যেভাবে পারলো মারতে লাগলো। এটা দেখে পেছন থেকে আরো কয়েকজন ছুটে এল। রিতি মা এবার কাদতে শুরু করল। রিতির বাবা উঠে যেতে চেষ্টা করলে তাকে একটা বন্দুকের বাট দিয়ে মুখে মারা হল। কথাকে দুটা লাথি মেরে আবার বেধে দেয়া হল।
রিতিকে উঠতেই তারা কয়েকজন মিলে তাকে ধরে ফেলল। তাকে সামান্য দূরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটা গাছের পেছনে নিয়ে গিয়ে তাকে ছুড়ে ফেলল চিকন লোকটা। চিকন লোকটা বলল, “আমার সাথে বাংলা সিনেমা করছ? তাইলে দেখ বাংলা সিনেমার ভিলেনরা কি করে।”- এটা বলে লোকটা তার দিকে এগিয়ে আসছিল। লোকটার পশু-রূপ দেখে রিতির বুঝতে অসুবিধা হল না যে সে যদি এখন কিছু না করে তবে তার ভাগ্যে খারাবি আছে। রিতি তার স্কুলে দৌড়ে ফাস্ট। তাকে এটার জন্যই প্রস্তুত হতে হবে।
রিতি তার পেছনে একটা পাথর দেখতে পেল। সে সেটা হাতে নিয়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে লোকটার চেহারা বরাবর মারলো। অন্য কেউ কিছু বোঝে উঠার আগেই সে দৌড় দিল। লোকটার নাক পুরোপুরি ফেটে গেছে। সে হুশ পেয়ে তার বন্দুক দিয়ে ক্রমাগত গুলি করছে।  কিন্তু রিতি ততক্ষনে অনেক দূরে চলে গেছে।

দস্যুরা যার উপর রাগ দেখাতে পারত সে চলে গেছে, তাই তারা ফিরে এসে রিতির বাবাকে মারতে লাগল। তার মা বাধা দিলে তাকেও মারতে লাগল। এ সময় তাদের দলনেতা এল।
“কি হয়েছে এখানে?”
“বস একজন ভেগে গেছে।”
“কি?” সে তার বন্দুকের বাট দিয়ে লোকোটাকে আঘাত করল।

ক্রিক প্রকৃতির দৃশ্য দেখছে। তার মনে আরেকটা কবিতা এল-
                     ফুল পরে, পাতা নড়ে, পাতায় পাতায় হিয়া
                     তুমি না করিলে আমায় কে করিবে বিয়া?
আচ্ছা রোবটরাও কি মানুষের মত বিয়ে করতে পারবে? সুন্দর একটা সংসার কি তাদেরও হতে পারে?

৭

হিমান বাক্সটা খুলেছে। বাক্স থেকে জিনিশ গুলো বের করতেই সেগুলো বড় হয়ে গেল। সিলিকনের একটা পোশাক, এক জোড়া জুতা,একটা ওয়াচ আর একটা সান গ্লাস। তাকে অনেকটা এখন অনেকটা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। মডেলটি তাকে যা বলেছে তাতে তার সাভাবিক থাকার কথা নয়। তাও তার কাছে মনে হচ্ছে এই ব্যাপার গুলো যেন প্রতিদিন ঘটে।

সে জিনিশগুলো এক-এক করে পড়ে ফেলল। এমন সময় গর্তে একটা অতিকায় অজগর সাপ ঢুকছে। সাপটা খুপ তাড়াতাড়ি তার দিকে আসছে। সে যেন ভিত হওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সাপটাকে সে দেখছে, এটা নিজের বিশাল জিবকে বার বার বের করছে। হঠাৎ সাপটা নিজেকে হিমানের দিকে ছুড়ে মারলো। হিমান তার যে হাতে ওয়াচটা পরেছে সে হাতটা এগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে সাপটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। সে তার বাকি জিনিশগুলো পরে নিল। তাকে এখন জিনিশগুলোকে আয়ত্ত্ব করতে হবে। সে জিনিশগুলোর ব্যবহার করতে গর্তের বাইরে এল। সে যে সানগ্লাসটা পড়েছে সেটার কারণে তার সামনে বিভিন্ন জিনিশ সেখার পদ্ধতি ভাসছে। সে জিনিশ গলো আস্তে আস্তে পরীক্ষা করতে লাগল। তাকে এখানেই থাকতে হবে, কারণ হলগ্রামটা বলেছে একটা মেয়ে তাকে খুজতে আসবে। এমন সময় সে গুলির শব্দ শুনতে পেল। যাই হউক তাকে অন্য কোন দিকে যাওয়া চলবে না। ভবিষতের জন্য তাকে প্রস্তুত হতে হবে, ভবিষ্যতের একমাত্র পথ “সেই।”

রিতি দৌড়ে হাপিয়ে উঠেছে। সে শরীরেও আর কোন শক্তি পাচ্ছে না। একটা গাছের নিচে সে বসে পরলো। তার প্রচণ্ড পিপাসা পেয়েছে। তার হাপানোও বন্ধ হচ্ছে না। সে বসে বসেই হাপাতে শুরু করেছে। তখন পাখিগুলো ঘরে ফিরে যাচ্ছে, সন্ধ্যা হচ্ছে। এমন সময় সে কথা শুনতে পেল। কথাগুলো সে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে, গাছের পেছন থেকেই আসছে। রিতি আরও ভয় পেয়ে গেছে। সে উঠে আবার দৌড় দিল। সে অনেক ক্লান্ত, তাও তাকে যেতে হবে। তাকে বাচতে হবে, কারণ সে বাচতে চায়। এ সুন্দর পৃথিবীতে সে নিশ্বাস নিতে চায়।
রিতি যে গাছের নিচে বসেছিল সে গাছের উলটো পাশে বসে ক্রিক একটা কবিতা রচনা করছিল। কবিতার নাম ‘আমি এখনে, তুমি সেখানে’।  রিতি সে কবিতার লাইন শুনেই দৌড় দিয়েছে।

“বস আপনি ঠিক আছেন?”
“আকাশের দিকে তাকা।”- আকাশে তখন দুটা হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছিল।
“হেলিকপ্টার!”
“খশরু তাহলে কাজের মত কাজ করেছে।”
“ওস্তাদ, তাহলে আমরা কি করবো; চিকন লোকটা বলল।”
“তোরা কিছু করবি না। জানিশ আমাদের ধরার জন্য পুরো দেশের মানুষ খেপে আছে।” “একটু ভুলের কারণে কত কিছু ঘটতে পারে তোরা চিন্তাও করতে পারবি না। এমনি তোরা একজনকে যেতে দিয়েছিস। সে যদি মেলেটারিদের কাছে চলে যায় তবে আমরা সবাই ধরা করবো। তাই এখন আমাদের জায়গা চেঞ্জ করতে হবে।”
“সরি বস।”
“যা তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা কর।”- বস লোকটা বলল।

হিমান প্রাকটিস করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। সে চোখ খুললো। সে কাদামাটির উপরই শুয়ে আছে। সে হাত মাথার পেছন দিকে হাত দিয়ে শুয়ে আছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে তার ভালো লাগছে। এমন সময় তার উপর হুঁচট খেয়ে একটা মেয়ে পড়লো।
হিমান তাকে ধরলো। মেয়েটি তার দিকে তাকিয়ে বলল, “আমাকে বাচাও।”
“এটাই কি তাহলে সেই মেয়ে?”
মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেছে।

মেয়েটি পিট পিট করে তাকাচ্ছে। “তুমি কে?”- মেয়েটি জিজ্ঞাস করল।
“আমার নাম হিমান।” “ তুমি এখানে কেমন করে এলে?” জিজ্ঞাস হিমান করল এবার।
“আমি জানি না। আমাদের দস্যুরা আটকে রেখেছিল। আমি সেখান থেকে পালিয়ে এসেছি।
আমার ফ্যামিলিকে বাচাতে হবে।”

“আমি ভবিষৎ থেকে আসছি।”
“মানে।”
“মানে আবার কি হবে?”
“তুমি যদি বলতে আমি অন্য গ্রহ থেকে আসছি তবে বিশাস করা যেত, ভবিষ্যৎ থেকে মানে?"

রিতিকে একটা হরিণ শিকার করে নিজের ওয়াচ দিয়ে রান্না করতে দিল। তাও করেছে দুমিনিটে। রিতির মনে হচ্ছিল হিমান মেগি নুডুসের এডঃ দিচ্ছে। হরিণটা সে যেভাবে শিকার করেছে সেটা দেখার মত। রিতি এখনো হা করে আছে। গাছের উপর থেকে লাফ দিয়ে হরিণটার সরাসরি শিরচ্ছেদ করল হিমান।
হিমানের খাবারের দরকার হবে না ১৫ বছর পর্যন্ত। তাকে এখানে পাঠানোর সময় হাইপার ফুড দেয়া হয়ে ছিল।
রিতি খেতে খেতে বলল, , “তোমার টাইম মেশিন কোথায়।”
“টাইম মেশিন ভুয়া জিনিশ। আমি আমার থিয়রি ফলো করে একটা শিপ তৈরি করেছি।”
“ওহ তাহলে তুমি বিজ্ঞানী?।”
“বলতে পারো।”
“কিভাবে এসেছ তাহলে?”
“ইউনিভারস বাবলের মত, পুরো ইউনিভার্স ঘুরে আগের জায়গায় হাইপার ড্রাইভ দিয়ে আসলে সময়ের আগে আসা যায়”
ashikmokami
TheFirstObserver

Creator

Comments (0)

See all
Add a comment

Recommendation for you

  • Blood Moon

    Recommendation

    Blood Moon

    BL 47.6k likes

  • Silence | book 1

    Recommendation

    Silence | book 1

    LGBTQ+ 27.2k likes

  • Touch

    Recommendation

    Touch

    BL 15.5k likes

  • Secunda

    Recommendation

    Secunda

    Romance Fantasy 43.2k likes

  • What Makes a Monster

    Recommendation

    What Makes a Monster

    BL 75.2k likes

  • Silence | book 2

    Recommendation

    Silence | book 2

    LGBTQ+ 32.3k likes

  • feeling lucky

    Feeling lucky

    Random series you may like

ফেক্টরিয়াল জিরো
ফেক্টরিয়াল জিরো

1.6k views1 subscriber

Anthology stories bangla, Factorial Zero=1
Subscribe

20 episodes

আমি পৃথিবী থেকে এসেছি [6-7]

আমি পৃথিবী থেকে এসেছি [6-7]

72 views 0 likes 0 comments


Style
More
Like
List
Comment

Prev
Next

Full
Exit
0
0
Prev
Next