প্রত্যেকটা ব্লকেই ৬টা করে বিল্ডিং আর সবগুলো ব্লকের একটা করে প্রবেশ পথ, মেইন রোড দিয়ে। অত্যাধুনিক এই পৃথিবী আগের মত নয়, সবকিছু আন্ডারগ্রাঊন্ডে, ৬০ তলার পাথরের বিল্ডিং এর ভেতরে। পৃথিবীর উপরিভাগ এখন শুধু ক্রিয়ার জন্য ব্যবহার হয়। ইকারাস মনে করে মানুষের এত পপুলেশনে কোন দরকার ছিল না, যে সবাইকে মাটির নিচে থাকতে হবে। ইকারাস তার আসল নাম নয়, এ নামটা সে সোস্যাল মিডিইয়ায় তার এভাটারের জন্য ব্যবহার করে। সব মানুষ এখন তার মতই আইসোলেটেড। যে কোন কাজ করতেই এখন সবাই এভাটার ব্যবহার করে। ইকারাস মনে করে সমাজের কখনও কোন পরিবর্তন হয় না, শুধু পদ্ধতি গুলোর হয়। মানুষ শুরুতে যা ছিল এখনও তাই আছে। তার নিজের অট্টালিকাতেই এখনো অনেকে ধর্মের নামে পশু হত্যা করে, অনেকে পূজা করে দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্য কোন মূর্তিকে। এদের মধ্যে তারা মনে করে একজন অন্যজন থেকে কিছু বেশি জানে, কিংবা সত্য জানে। বাকিরা যেন সবাই মিথ্যুক। তার স্টেটাসে একটা মেয়ে কমেন্ট করল, মেয়েটার এভাটারের নাম ঈশিতা। সে মেয়েটার কমেন্টে একটা লাইক দিল। ইকারাসে মনে হল মেয়েটাকে ভার্চূয়ার পার্কে ডাকে। যেই চিন্তা সেই কাজ , তারা ভার্চূয়াল পার্কে একে অপরকে চুমু খেল, তারপর সিদ্ধান্ত নিল পৃথিবীর সারফেসে ক্রিড়া দেখতে একজন অন্য জনের সাথে দেখা করবে। ইকারাস সেদিন সারফেসে গেল, সিটিং-এ বসে অপেক্ষা করল ১৫ মিনিট। মেয়েটা তার কাছে আসতেই দুজনের গ্লাস এন্ডোয়েড বেজে ঊঠল। ইকারাস উঠে দাড়াল মেয়েটাকে দেখার জন্য। ইশিতাকে দেখে তার চেয়ে বেশি কেউ অবাক হত না, ঈশিতা বলল, “আমি বাসায় যাচ্ছি।” ইকারাস তার চেয়ারে বসে পরল, সে জানে ঈশিতা কোথায় গেছে, কারন ঈশিতাতো তারই বোন, ইকারাস বাসায় এসে তার এভাটারের নামটা আপডেট করল, সে তার আসল নাম লিখল।
Comments (0)
See all