সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি যখন প্রথম শুরু হয় তখন ব্যপারটা অনেকের জন্য কঠিন ছিল। আগে যেখানে সামান্য মুখস্ততে কাজ হয়ে যেত সেখানে এখন সবার ৪-৫ ঘন্টা পড়ালেখা করতে হয়। সময়টা ছিল ২০০৯, যখন ফেলের সংখ্যা গনিতে অন্তত অনেক বেড়ে গেছে। অবনী মেয়েটির ছিমছিম কোমর, বাদামী চোখ আর টিউব লাইটের মত গায়ের রঙ, অস্টম শ্রেনীতে পড়ে, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নামক এক পরীক্ষা দেবে তখন। সৃজনশীল তাই পরতে পরতে তার অবস্থা খারাপ, সমস্যা হচ্ছে কোন কিছুই তার মাথায় থাকে না। পড়াশুনা করে যদি রেজাল্ট খারাপ করতে হয়, তাহলে সেটা হল সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। প্রথম যখন স্কুল খুলেছে সেবছর তাদের বই ফ্রি দেয়া হয়েছিল, তার অংকের টিচার সপ্তম শ্রেনীতে তাকে অনেক ভাল জানত, কিন্তু এখন সে আর বানানো অংক করতে পারে ন। তাকে প্রায়ই ঝাড়ি খেতে হয়। অনেক চিন্তা ভাবনা করে সে ঠিক করল তাকে প্রাইভেট পড়তে হবে, অংকের টিচারের কাছেই সে প্রাইভেট পড়া শুরু করল। কয়েকমাস গেল, প্রথম পরীক্ষায় সে ফেল করল। পরেরটাতে জোড় দিতে সে আরো বেশি চেষ্টা শুরু করল। একদিন তার টিচার তাকে থাকতে বলল, সেদিন অবনী লক্ষ্য করছিল তার টিচার তার বুকের দিকে বারবার তাকাচ্ছে। এই টিচারের বিপক্ষে সে কাকে কি বলতে পারে? বাড়িতে কিছু বললেও তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবেই এবছরের শেষের দিকে তার পেট বড় হতে লাগল, সে আর পরীক্ষা দিতে পারে নি, তাকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে।
Comments (0)
See all